গাজীপুরের শ্রীপুরে দুই কারখানা শ্রমিককে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার রাতে শ্রীপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে শ্রীপুর থানার ওসি খন্দকার ইমাম হোসেন জানান। এই ঘটনায় ওই দুই তরুণীর একজন বাদী হয়ে রোববার শ্রীপুর থানায় পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। গ্রেপ্তাররা হলেন শ্রীপুর উপজেলার বিধাই গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে শাহীনুর ইসলাম (৩০), আইয়ুব ঢালীর ছেলে কালাম (২৬), বিল্লাল হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর (৩০) ও আলিম হোসেনের ছেলে বাবু (১৮)। এদের চারজনই মামলার আসামি। আরেক আসামি মোকছেদুল ইসলাম পালিয়ে গেছে। এরা সবাই সিএনজি অটোরিকশা চালক। মামলায় অভিযোগ করা হয়, এই দুই তরুণী ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ীর আকবর কটন মিলে দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করছেন। তারা দুজনই শিল্পকারখানার কোয়ার্টারে থেকে ‘হেল্পার’ পদে ওই কারখানায় চাকরি করছেন। গত শুক্রবার [২১ অগাস্ট] বিকালে কারখানা ছুটি হলে এই দুই তরুণীর একজনকে তার সম্পর্কিত দুলাভাই ও সাবেক সহকর্মী শাহীনুর ইসলাম মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে শ্রীপুরে বেড়ানোর প্রস্তাব দেন বলে অভিযোগে বলা হয়। অভিযোগে আরও বলা হয়, পরে ওই নারী অপর সহকর্মীকে নিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শ্রীপুর যান এবং সেখান থেকে শাহীনুর ও তার সঙ্গীরা তাদের একজনকে কৌশলে বিধাই গ্রামের ভ্রমরা ভিটায় পরিত্যাক্ত একটি ঘরে এবং অপরজনকে পাশের একটি মুরগীর পরিত্যাক্ত খামারে নিয়ে যান। “সেখানে তারা এই দুজনকে মারধর করে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন এবং সারা রাত ধর্ষণ করে পালিয়ে যান।”
শ্রীপুর থানার ওসি খন্দকার ইমাম হোসেন জানান, ওই দুই তরুণীর একজনের স্বজনদের মাধ্যমে খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়। পরে শনিবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে; দুই তরুণীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে ওসি জানান।