দেশে বৈরী আবহাওয়ার কারনে বৃস্টির আকাল। তাই গড়াই নদীর পানি বৃদ্ধি থাকলেও পানি মাঠে যাওয়ার কোন ব্যবস্থা নাই। তবে নদীর পানি বের হওয়ার জন্য ডুমাইন ইউনিয়নে তারাপুর গ্রামে সুইস গেট আছে। এখন শুধু নদীতে খাল খনন প্রয়োজন। পক্ষান্তরে দেশের উন্নয়ন করতে হলে কৃষি কাজের গুরুত্ব অপরিসিম। পানির অভাবে কৃষকের ইরি ধান চাষ ও খালে-বিলে খানায় পাট জাগ দেওয়া ব্যাহত হচ্ছে। দুশ্চিন্তায় আছেন কৃষকরা। এ কারণে কৃষকেরা গড়াই নদী থেকে সোজা মাটির নিচ থেকে ড্রেন আকার তৈরী করে খাল খনন করবেন এবং উপরে মাটি দিয়ে ভরাট করে খালটি খনন করে এই তারাপুর সুইস গেট দিয়ে ডুমাইন ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মাঠে পানির প্রবাহের ব্যবস্থা করবেন। রবিবার (২৭শে আগষ্ট ) সরেজমিনে দেখা গেছে, কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় গড়াই নদী থেকে মাটির নিচ দিয়ে খালটি ড্রেন আকারে তৈরী করে এনে তারাপুর সুইস গেটের সাথে সংযোগ করে দিলে কৃষকের পাট জাগ ও ধান চাষ করার কোন সমস্যা হবেনা। তারাপুর গ্রামের কৃষকেরা বলেন, খালের পানির ওপর নির্ভর করেই শতশত একর জমিতে আমন ও ইরি ধানের চাষাবাদ করা যাবে বলে মনে করেন। এ প্রসঙ্গে ডুমাইন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মতিয়ার রহমান মোল্যা বলেন দেশে কৃষিকাজের জন্য পানি বিকল্প নাই। দেশে যেমন বৈরী আবহাওয়া বিরাজমান। সেইদিক বিবেচনা করে কৃষকের অভাব ও দূর্ভোগের কথা চিন্তা করে তারাপুর গ্রামের গড়াই নদী থেকে মাটির নিচ থেকে খাল খনন করে সুইস গেটের সাথে সংযোগ করে দিলে সমস্য দুর হবে বলে আশা রাখেন। তাই ডুমাইন ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান তপন বলেন, ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের মানুষ সহ ডুমাইন, তারাপুর, জিনিষনগর, জাননগর‘ সিধলাজুড়ি এলাকার মানুষ কৃষি নির্ভরশীল। কৃষি কাজ করেই তাদের জীবন-জীবিকা করতে হয়। দেশে বৃস্টি না থাকার দরুন তাদের দুর্ভোগের শেষ নাই। তাই নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে গড়াই নদী থেকে তারাপুর গ্রামে সুইস গেট পর্যন্ত নতুন করে এই খালটি খনন করা একান্ত প্রয়োজন।’ তিনি আরও বলেন, গড়াই নদী থেকে গভীর করে মাটির নিচ থেকে ড্রেন করে তারাপুর সুইস গেটের সংযোগে এনে দিলে মরা খাল সহ নতুন খাল এবং কৃষকেরা আবার নতুন প্রাণ ফিরে পাবে। কৃষকেরাও উজ্জ্বীবিত হবে। বিগত দিনের মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি ভুক্তভোগী কৃষকদের মাধ্যমে অবগত হয়েছি। যাতে কৃষকেরা খালের পানি ব্যবহার করে নির্বিঘ্নে চাষাবাদ করতে পারে।’ সে ব্যবস্থা করা হবে এই আশ্বাস দেওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অন্যত্র উপজেলায় বদলী হয়ে যায় বলে ডুমাইন ইউনিয়ন বাসীর কৃষকের মাধ্যমে জানা যায়। তবে তারা দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে বলেন কবে আমাদের মধুখালী উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসবে। আর আমাদের কবে খাল খনন করে কৃষকের মনে হাসি ফুটাবে এই আশা নিযে পথপানে চেয়ে থাকি।