টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইল ইউনিয়নের বর্ণী গ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর দায়ের কোপে গুরুতর আহত স্ত্রী রুবি আক্তার(২৭) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার (১২ আগস্ট) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রুবি আক্তারের বড় ভাই বাচ্চু বাদী হয়ে স্বামী রুবেল পালোয়ান ও তার প্রথম স্ত্রীর বিরুদ্ধে দেলদুয়ার থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত রুবেলকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার পর দেলদুয়ার থানা পুলিশ রোববার(১৩ আগস্ট) আদালতে পাঠিয়েছে। জানা যায়, ডুবাইল ইউনিয়নের বর্ণী গ্রামের সিদ্দিক পালোয়ানের ছেলে ইরাক প্রবাসী রুবেল পালোয়ানের সঙ্গে কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার তারাকান্দি গ্রামের মৃত মোক্তার উদ্দিনের মেয়ে জর্ডান প্রবাসী রুবি আক্তারের (২৭) সঙ্গে প্রবাসে থাকা অবস্থায় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ বছরের ২৯ এপ্রিল রুবেল ইরাক থেকে ও ১ মে রুবি জর্ডান থেকে দেশে আসেন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রুবিকে রিসিভ করে নিজ বাড়ি দেলদুয়ারের বর্ণিতে নিয়ে আসেন রুবেল। তবে রুবেল আগে থেকেই বিবাহিত ও তার স্ত্রী রয়েছে। প্রথম স্ত্রী থাকার পরও ২ মে তারা বিয়ে করেন। পরে রুবেল সস্ত্রীক শ্বশুরবাড়ি কিশোরগঞ্জে বেড়াতে যান। স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়ি রেখে রুবেল নিজ এলাকায় চলে আসেন। স্বামী তাকে আনতে না যাওয়ায় ২০ জুন রুবি একাই বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি চলে আসেন। এরপর টাকা লেনদেন নিয়ে তাদের মধ্যে একাধিক সময় বাগবিতণ্ডা হয়। ৩ আগস্ট রুবিকে আবার বাবার বাড়ি রেখে আসেন রুবেল। স্বামী না যাওয়ায় ১০ আগস্ট রুবি আবার একাই স্বামীর বাড়ি চলে আসেন। ১১ আগস্ট টাকার হিসাব-নিকাশ নিয়ে তাদের মধ্যে ফের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রুবেল দা দিয়ে রুবির মাথায় একাধিক কোপ দেয়। এতে রুব গুরুতর আহত হলে তাকে প্রথমে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। দেলদুয়ার থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) নাছির উদ্দিন মৃধা জানান, অভিযুক্ত স্বামী রুবেলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা গ্রেপ্তার করেছে। ঢাকা থেকে তাকে দেলদুয়ার থানায় আনা হয়েছে। হত্যার ঘটনায় নিহত রুবির বড় ভাই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আসামিকে রোববার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।