কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার বৈরাগীরচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৪ লক্ষ নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত আজিক বিড়ি, বিপুল পরিমান জালব্যান্ডরোল, বিড়ির ঠোস ও বিড়ি তৈরির সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়েছে। গত বুধবার বিকালে দৌলতপুর থানা পুলিশ এ অভিযান পরিচালনা করেন। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সরকারের মোটা অংকের টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কুষ্টিয়া জেলায় কিছু অসাধু চক্র দীর্ঘদিন ধরে নকল আকিজ বিড়ি উৎপাদন, বিক্রি ও বাজারজাত করে আসছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার বিকালে পুলিশের একটি চৌকস টিম দৌলতপুর থানাধীন বৈরাগীরচর এলাকার তিনটি বাড়িতে অভিযান ও তল্লাশি চালায়। এসময় ওই তিনটি বাড়ি থেকে সাড়ে ৪ লক্ষ শলাকা নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত আকিজ বিড়ি, ১০ লক্ষাধিক বিড়ির ঠোস, বিপুল পরিমান জাল ব্যান্ডরোল ও বিড়ি তৈরির সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির মালিক পালিয়ে যায়। অভিযান শেষে জব্দকৃত ১০ লক্ষাধিক বিড়ির ঠোস জনসম্মুখে নষ্ট করা হয়েছে। ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে কলিম সরদারের বিরুদ্ধে দৈালতপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে আসামী পলাতক রয়েছে। দৈালতপুর থানার এসআই সেলিম রেজা জানান, নকলের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যহত থাকবে। এছাড়া রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কেউ অবৈধভাবে বিড়ি উৎপাদন, বিক্রি ও বাজারজাত করলে তার বিরুদ্ধে আইননানুক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। স্থানীয়রা জানান, কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে বিপুল পরিমান নকল বিড়ি উৎপাদন হচ্ছে। কুষ্টিয়ায় উৎপাদিত এসব নকল বিড়ি পরিবহন ও কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে সিলেট, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, বি-বাড়িয়া, ভৈরব, ভোলা, নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। এতে সরকার বিপুল পরিমানে রাজস্ব হারাচ্ছে। নকলের বিরুদ্ধে পুলিশ ও কাস্টমস, এক্সাসাইজ ও ভ্যাট বিভাগের অভিযান ও তৎপরতা বাড়ানোর দাবি জানান স্থানীয় সচেতন মহল।