কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরের পাশে টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের সঙ্গে মাদক কারবারিদের সংঘর্ষের ঘটনায় মোহাম্মদ রফিক নামে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। তিনি টেকনাফের লেদা ক্যাম্পের এ-ব্লকের বাসিন্দা। এ ঘটনায় বিবিজির এক সদস্যসহ আরো ছয় জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুরে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মাদক বিরোধী অভিযানের ঘটনা নিশ্চিত করে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘মাদককারবারি মো: জাফরের খবরে বিজিবির একটি দল ওই এলাকা অভিযান চালিয়ে মাদকসহ তাকে আটক করা হয়। এসময় স্বজনরা তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে প্রধান সড়কে উঠলে জড়ো হয়ে বিজিবির উপর ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা চালায়। এসময় বিজিবি তাদের সরানোর চেষ্টা চালায়। তবে লোকজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর আমিও শুনেছি। বিষয়টি আরো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ এলাকাবাসী জানায়, ‘লেদায় দুপুরে মো. আলমের ভাই মাদক কারবারি মোঃ জাফরকে আটক করে বিজিবি। এ সময় তাকে নিয়ে যাওয়ার সময় আত্মীয়-স্বজনদের সাথে বিজিবি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন বিজিবির উপর ইট পাটকেল ছোঁড়ে। এসময় বিজিবিও পাল্টা গুলি চালায়। এতে পথচারী এক রোহিঙ্গাসহ ৬ জন আহত হয়েছে। পরে তাদের উদ্ধার করে লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বাস্থ্য ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ ঐ রোহিঙ্গাকে মৃত ঘোষণা করে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজারে প্রেরণ করে। আহতরা হলেন, টেকনাফে লেদা গ্রামের বাসিন্দা রাজু, ইসমাইল, গুরা মিয়া, হাফেজ মুজিব। টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম বলেন, ‘লেদায় স্থানীয়দের সাথে বিজিবির সংর্ঘষে আমার ক্যাম্পের একজন বাসিন্দা মারা গেছে। সে একজন পথচারী ছিল।’ টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ বলেন, ‘বিজিবির একটা অভিযানে গ্রামবাসির সাথে সংর্ঘষের ঘটনায় একজন মারা যাওয়ার খবর শুনেছি। এ ঘটনায় আরো কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেয়া হচ্ছে।’ লেদা স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল হুদা বলেন, ‘একজনকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়দের সাথে বিজিবির সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় পথচারী ১ জন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় আরো ৬ জন আহত হন। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ভয়ভীতির মধ্য রয়েছেন।