ফরিদপুরের সরকারী রাজেন্দ্র কলেজের অনার্স (উদ্ভিদবিদ্যা) তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী প্রান্ত মিত্র (২৩) এর হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত চার আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের নিকট থেকে জব্দ করা হয়েছে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বিভিন্ন আলামত। বুধবার দুপুরে ফরিদপুরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানান ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান। গ্রেফতারকৃতরা হলো, তানভীর আহম্মেদ সজিব শেখ (২৩), ইসরাফিল মল্লিক (৩৪), সিফাতুল্লাহ বেপারী (১৯) ও মো. মাসুম শেখ (৩৪)। সাংবাদিক সম্মেলনে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার জানান, গত ২৫ জুলাই রাতে ছিনতাইকারীদের ছুবিকাঘাতের কারণেই নিহত হন প্রান্ত মিত্র। ছিনতাইকারীরা প্রান্তকে হত্যার পরে একইরাতে শহরের কমলাপুরে জেলা জাকের পার্টির সভাপতি মশিউর রহমান যাদু মিয়াকে কুপিয়ে জখম করে তার নিকট থেকে নগদ টাকা ও মালামাল ছিনিয়ে নেয়। এছাড়াও তারা আরো ২টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটায়। তিনি জানান, গ্রেফতারকৃতরা সবাই মাদক সেবী। জেলখানা থেকে তাদের পরিচয়। তারা মাদক সেবন ও ফুর্তির জন্য এসব ছিনতাই করতো। তাদের নিকট থকে হত্যাকান্ডের সময় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, চাপাতি, সেভেন গিয়ার চাকু ও রেঞ্জ সহ হত্যাকাণ্ডের সময় হত্যাকারীর গায়ে থাকা রক্তমাখা জামা-কাপড়, জুতা ও বেল্ট উদ্ধার করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে শেষে সেখানে উপস্থিত হয়ে নিহত প্রান্ত মিত্রের মা কান্নায় ভেপেড়েন। তিনি আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন। প্রসঙ্গত, গত সোমবার (২৫ জুলাই) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে হৃদয় নামে এক বন্ধুর বোনকে রক্ত দেবার উদ্ধেশ্যে শহরের ওয়ারলেসপাড়ার বাসা থেকে রিকশায় করে শিশু হাসপাতালের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। কুমান নদের উপর নির্মিত আলপিুর সেতু পার হয়ে সেতুর ঢালে নামার সময় ছিনতাইকারীরা তাকে বহনকারী রিক্সার গতিরোধ করে তার কাছ থেকে টাকা পয়সা ও মোবাইল ছিনতাই করে। এতে সে বাঁধা দেয়ায় ছিনতাইকারীরা প্রান্তের বুকে ছুরিকাঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এর দুদিন পরে বুধবার (২৭ জুলাই) দিবাগত রাতে প্রান্তের বাবা বিকাশ মিত্র অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় এ মামলা করেন।