ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় এক রাতে তিন পরিবারের অনন্ত ১৫ জন সদস্যকে অচেতন করে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ১৫ লক্ষাধিক টাকার স্বর্ণলংকার, নগদ টাকা ও কয়েকটি মোবাইল সেট চুরির দাবি করেছেন ভূক্তভোগীরা। এদের মধ্যে সাতজন আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। সোমবার রাতে উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের পানিপাড়া গ্রামে তিনটি বাড়িতে রহস্যময় চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায়অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে ভূক্তভোগী ইউনুচ মোল্যা বাদি হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে আলফাডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সরেজমিন ভূক্তভোগী মানোয়ার সরদার, ইউনুচ মোল্যা ও তার সহোদর খায়ের মোল্যার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় বাড়িতে থাকা ছোট-বড় সকল সদস্য অসুস্থ হয়ে গেছে। এদের মধ্যে অনেকেই আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের শরীর অনেক দুর্বল হয়ে গেছে। সোমবার সকাল থেকে এমন হচ্ছে বলে ওই তিন বাড়ির লোকজন জানান। ইউনুচ মোল্যার স্ত্রী লিপি বেগম বলেন, সোমবার সকাল থেকে আমাদের দুই পরিবারের ছোট-বড় সকল সদস্যদের ঘুমে চোঁখ বন্ধ হয়ে যায়,শরীর দুর্বল হয়ে যায়, ওই দিন রাতে কখনযে ঘুমিয়ে পড়েছি জানিনা সকালে পাশের বাড়ির লোকজনের ডাকে ঘুম ভেঙে দেখি দুই বাড়ির ঘরের দরজা ভাঙ্গা। ঘরের মধ্যে থেকে শুধু মাত্র নগদ টাকা, স্বর্ণলংকার ও মোবাইল চুরি হয়েছে। খুব পরিচিত লোকছাড়া এমন ভাবে চুরি করতে পারে না। খায়ের মোল্যর সাত বছরের শিশু পুত্র সামিউলকে দেখা যায় বমি করতে। সোমবার সকাল থেকে এমন হচ্ছে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে। লিখিত অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে ওসি মো.আবু তাহের বলেন, খবর পেয়ে আমি দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে খাবারের মসলা অথবা টিউবয়েলের পানির মধ্যে কোনো ওষুধ মিশিয়ে বাড়ির লোকজনকে অচেতন করে চোরেরা চুরি করেছে। ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের চিহিৃত করতে পুলিশের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।