দিনাজপুরে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড ও একই সাথে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
২৪ জুলাই সোমবার দুপুরে দিনাজপুর জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক যাবিদ হোসেন আসামীর উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষনা করেন।
মৃতুদন্ড প্রাপ্ত আসামী দিনাজপুর সদর উপজেলার মাধবপুর গ্রামের চিরাকুঠি পাড়ার লালু চন্দ্র রায়ের ছেলে প্রভাত চন্দ্র রায়।
আদালত সূত্রে জানা যায় , সাজা প্রাপ্ত আসামী প্রভাত চন্দ্র রায়ের সঙ্গে নিহত ববিতা রানি রায়ের ২০০৯ সালে বিবাহ হয়। তারা ঘর সংসার করাকালে এক কন্যা ও এক পুএ সন্তানের জন্ম হয়। আসামি প্রভাত চন্দ্র রায় স্ত্রী ও সন্তানের ভরণপোষন যথাযথ ভাবে না দিয়ে নেশা করা সহ অন্যান্য কর্মকান্ডে জড়িত থাকাবস্হায় ২০১৪ সালে আসামি দেশান্তর হন। পরবর্তিতে কিছুদিন ভালো থাকার পড় আবারো পুনরায় নেশা সেবন করা শুরু করলে সংসারে অশান্তির হয়। ববিতা রানী আসামীর অন্যায় কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করলে স্ত্রীকে শারিরিক নির্যাতন করে আসছিল। ববিতা রানি ঘটনাটি পরিবারকে জানালে এ যটনায় আসামি ক্ষিপ্ত হয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিকাল চারটা বিশ মিনিটে ববিতা রানীকে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার শাবল ও লোহার রড দিয়ে ববিতা রানীর মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করে। এসময় মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য আসামি প্রভাত চন্দ্র ববিতা রানীর গলা চিপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে । এ ঘটনার পরদিন নিহত ববিতা রানী রায়ের ভাই পরিতোষ চন্দ্র রায় বাদী হয়ে দিনাজপুর কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। দীর্ঘ সময় মামলার শুনানী অন্তে সাক্ষীদের সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক উপরোক্ত রায় প্রদান করেন। মামলাটি রাস্ট্র পক্ষে পরিচালনা করেন পিপি রবিউল ইসলাম রবি এবং আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট মোঃ খলিলুর রহমান।