গতবুধবার (১৭ই জুলাই) সখিপুর উপজেলার নবগঠিত ৯ নং হতেয়া-রাজাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দৈনিক ডেল্টা টাইমস্ পত্রিকা ও ৭১ বাংলা টিভির ও বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের মির্জাপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মাসুদ পারভেজ গুরুতর আহত হয়ে এখন তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের হতেয়া এইচ.এইচ.ইউ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণা করার পর।
জানা যায়, ফল ঘোষণার পর পরাজিত মেম্বার প্রার্থীরা অসন্তোষ হয়ে একযোগে প্রিজাইডিং অফিসারকে অনুরোধ করে পুনরায় ভোট গণনা করতে। পুনরায় গণনা না করলে পরাজিত প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকরা ক্ষিপ্ত হয়ে কেন্দ্রে হামলা চালায়। এ সময় সাংবাদিক মাসুদ পারভেজকে বেধড়ক মারধর করা হলে উদ্ধার করে মেম্বার প্রার্থী আব্দুল মালেক মল্লিকের বাড়িতে তাকে গুরুতর অবস্থায় আশ্রয় দেয়া হয়।
এরপর শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এ সময় একজন পুলিশ সদস্য আহত হয় ও পুলিশ, প্রশাসনের গাড়ি ভাঙচুর করে তারা।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৪ রাউন্ড ফাকা গুলি ছুড়ে পুলিশ।
এই ঘটনায় বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নেসার উদ্দিন ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২৫-৩০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে।পরে মঙ্গলবার রাতে ৬ জনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানা যায়।
জানা যায়, আব্দুল হামিদ খাঁন টিউবওয়েল প্রতীকে ৭৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছে। অপরদিকে পরাজিত হয়েছে আ. বারেক মিয়া (বৈদ্যুতিক পাখা) ৬৪ ভোট, আ. মালেক মল্লিক (ফুটবল) ৬০ ভোট, নাছির (তালা) ২৬৭ ভোট, নাছির (মোরগ) ৪৪৮ ভোট, ওমর ফারুক (ভ্যানগাড়ি) ৪৮৬ ভোট।
বিজয়ী আব্দুল হামিদ খাঁন বলেন, আমাদের উপর হামলা করলে আমরা আমাদের অফিসে আশ্রয় নেই। ওরা বাহিরে অফিস ভেঙে আমাদের মারতে আসে, নানাধরণের হুমকি দেয়।
জনগণ বলছে, এর আগে এত সুন্দর নির্বাচন হয় নি। শান্তিপূর্ণ একটি নির্বাচন হয়েছে এবার।হঠাৎ কেন যে এমন বিশৃঙ্খলা হলো জানি না।
আহত সাংবাদিক মাসুদ পারভেজ বলেন,ফলাফল ঘোষণা করার পর নির্বাচনে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের উপর পরাজিত মেম্বার পদপ্রার্থীরা ও তাদের সমর্থকরা হামলা চালায়। আমি তার ভিডিও ধারণ করতে গেলে প্রথমে আমাকে বাঁধা দিয়ে মোবাইল কেঁড়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়।পরে তারা সাথে সাথেই অতর্কিত হামলা চালায় আমার উপর।আমার সাথে থাকা ব্যাগ,পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলের আইডি কার্ড,মানিব্যাগ,ব্যাগে থাকা ৬৫০০ টাকা তারা কেঁড়ে নেয়।পরে এক বাড়িতে আশ্রয় নেই।আমি চিকিৎসা নিচ্ছি, তাই কোথাও অভিযোগ করতে পারি নাই।একটু সুস্থ হয়ে অভিযোগ দায়ের করব।
সখিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রেজাউল করিম বলেন,ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামি সনাক্ত করে ৬ জনকে গ্রেফতারে করে আদালতে পাঠানো হয়েছে, অন্যান্যদের গ্রেফতার করতে অভিযানে আছে পুলিশ।