ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের বিমে ফাটল দেখা দিয়েছে। খুলে পড়ছে ছাদের পলেস্তারা। ছাদ ধসে পড়ার আশঙ্কায় খুঁটি দিয়ে রাখা হয়েছে। এমতাবস্থায় যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সেবা নিতে আসা রোগী ও স্বজনরা। তাদের দাবি দ্রুত মেরামত করা হোক ভবনটির। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের মূল ভবনের নিচ তলায় ছাদের পলেস্তারা খুলে পড়ছে। ছাদের নিচে ও পিলারে ফাটল ধরেছে। আর সেখানেই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে রোগী আর স্বজনরা। কক্ষের ভেতর, ছাদে পলেস্তারার ফাটল ঠেকাতে গাছের খুঁটির ঠেস দিয়ে রাখা হয়েছে। ২৫০ শয্যার আধুনিক সদর হাসপাতালের পুরাতন ভবন এটি। এ ভবনের একপাশে পুরোটাই শিশু ওয়ার্ড। হাসপাতালটির শিশু ওয়ার্ডের একাংশের ছাদ ফাঁটল ধরায় নজরে আসে কর্তৃপক্ষের। ভবন ধস ঠেকাতে ঐ স্থানে গাছের খুঁটি দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে ফাটল ধরা স্থান। সেই সঙ্গে সাবধানতা অবলম্বন করতে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে ব্যানার। দীর্ঘদিন ধরে ভবনটির সংস্কার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তথ্য বলছে, ১৯৮৭ সালে ৫০ শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরুর পর ১৯৯৭ সালে ১০০ এবং সর্বশেষ ২০২০ সালে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয় ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালটি। তবে শিশু ওয়ার্ডটি রয়ে গিয়েছে পুরাতন ভবনের পাশেই। নতুন ভবন ও শিশু ওয়ার্ডের মাঝখানেই পুরাতন ভবনটি অবস্থিত। দুই ভবনের মাঝে সংযোগ স্থলেই এই ফাটল দেখা দিয়েছে। চিকিৎসা নিতে আসা গোলাম রব্বানী বলেন, ছাদের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ও পলেস্তারা খসে পড়ে রড বের হয়ে গিয়েছে। এ ভবনে চিকিৎসা করাতে ভয় হয়, কখন কোন দুর্ঘটনায় পড়ি বলা মুশকিল। রোগীকে দেখতে আসা ফারুক হোসেন বলেন, সামনে গাছের খুঁটি। ভয় হয় কখন কোন দুর্ঘটনা ঘটে। এ অবস্থায় আমরা সবাই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি। কতৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণ করি দ্রুত মেরামত করার জন্য। চিকিৎসা নিতে এসে যেন আবার দুর্ঘটনায় পড়তে না হয়। এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. ফিরোজ জামান জুয়েল বলেন, আমরা ঐ স্থানটিকে ব্যবহারের অযোগ্য ঘোষণা করেছি। তার পরও যদি কেউ ব্যবহার করে তাহলে আমরা ব্যবস্থা নিবো যেন রোগীরা এটা ব্যবহার না করতে পারে। আমরা আশা করছি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে। ঠাকুরগাঁও জেলা সিভিল সার্জন ডা. নুর নেওয়াজ আহমেদ বলেন, আমরা মাসিক মিটিং এ বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। আশা করি এই বছরে মেরামত করা হবে।