দুর থেকে দেখলে সৌদর্যে চোখ জুড়িয়ে যায়, মনে জাগে নানান প্রশ্ন। এমটিই দেখা যায় দিনাজপুরের খানসামায় চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রং বিলাসের (গেন্ডারী) আখের চাষ করেছেন, ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের কৃষক রনজিৎ রায় ও আব্বাস আলী এবং বাম্পার ফলন হয়েছে। ন্যায্য দাম পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে তাদের মুখে। উপজেলার বিভিন্ন বাজারগুলোতে এ জাতের আখের বেশ চাহিদা রয়েছে। উপজেলার আখ সুস্বাদু ও মিষ্টি বেশি হওয়ায় পাইকারদের কাছে এর কদর অনেক বেশি। পাইকাররা এসব আখ উপজেলার বিভিন্ন বাজার থেকে ক্রয় করে বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করেন। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় ৭ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আখের আবাদ হয়েছে। প্রতিবছরের চেয়ে এ বছর আখের ফলন ভালো। ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের কৃষক রনজিৎ রায় বলেন, আমি আখ চাষ করবো এটা কখনে ভাবীনি। বর্ষাকালী গরুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করার জন্য আখের চারা রোপন করি। কিন্তু ফলন দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। অনেক পাইকারের এসে দাম হাকাচ্ছে। এখন বুঝলাম একটি লাভজনক চাষবাদ। এ বছর আমি ২০ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করেছি, চাষ করতে খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। আগামীতে আরো বেশি চাষ করার পরিকল্পনা করেছি। আখ চাষি মোস্তফা কামাল বলেন, ৩ বছর ধরে এ জাতের আখের চারা চাষ করছি। এ বছর ১৬ শতক জমিতে খরচও সীমিত, আমি নিজেও মাঝে মাঝে নিজেই বাজারে ১০-৪০ টাকা দরে বিক্রি করছি। একই এলাকার আরেক চাষি আব্বাস আলী বলেন, আমি অল্প কিছু জমিতে আখ চাষ করি। এখান থেকে কিছু আখ পাইকারের কাছে ৩৫-৪০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। বাকি আখ নিজেই খুচরা দরে ছোট আখ ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং বড় আখ ৬৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি করি। বিক্রি টাকা থেকে সকল খরচ বাদ দিয়ে লাভ হয়েছে ১৫ হাজার। খানসামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইয়াসমিন আক্তার বলেন, ভৌগোলিক কারণে ও মাটির উর্বরতায় উপজেলায় বিভিন্ন ফসলসহ আখ চাষ উপযোগী তাই দিন দিন উপজেলায় বাড়তি লাভের আশায় আখ চাষে ঝুঁকছে অনেক কৃষক। আখ চাষে উদ্যোগী কৃষকদের কৃষি দপ্তর থেকে সব ধরনের পরামর্শ দেয়া হবে।