দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর গত পাঁচদিন ধরে নিখোঁজ দুই মাদরাসা ছাত্রের সন্ধান মিলেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজশাহীর চারকোটা মোড় এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন স্বজনরা। পরে পুলিশ আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের বাড়িতে পাঠায়।
এর আগে গত শুক্রবার বিকেলে কুমারখালী উপজেলার চৌরঙ্গী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে খেলা দেখতে গিয়ে দুই ছাত্র নিখোঁজ হয়।
এ ঘটনায় গত বুধবার দুপুরে থানায় জিডি করেন দুই ছাত্রের বাবা।
উদ্ধার হওয়া ছাত্ররা হলো-উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের দক্ষিণ ভবানীপুর গ্রামের ভ্যানচালক আলম শেখের ছেলে মো. সাব্বির শেখ (১৩)। অপর ছাত্র মো. সামিউল ইসলাম বাগুলাট ইউনিয়নের শেখপাড়া গ্রামের রাজমিস্ত্রি শিপন আলীর ছেলে মো. সামিউল ইসলাম (১৩)। তারা চৌরঙ্গী নূরানী হাফেজিয়া ও ক্যাডেট স্কিম মাদ্রাসার হেফজ শ্রেণির ছাত্র।
সামিউল ইসলাম ও সাব্বির বলেন, পড়া তাদের ভালো লাগে না। সেজন্য খেলা দেখার কথা বলে তারা পালিয়ে প্রথমে কুমারখালী রেলস্টেশনে আসে। পরে ট্রেনে উঠে বিভিন্ন স্টেশন ঘুরে ঘুরে রাজশাহীর চারকোটা পাড়ায় যায়। সেখানকার পত্রিকা বিক্রির দোকানদার সুজাদ আলীর দোকানে গত বুধবার থেকে পত্রিকার হকার হিসেবে কাজ শুরু করে।
ছাত্রদের বাবা আলম ও শিপন বলেন, বৃহস্পতিবার দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার শেষ পৃষ্ঠায় ‘দুই মাদরাসা ছাত্র পাঁচদিন নিখোঁজ’ শীর্ষক সংবাদটি পত্রিকার হকার সুজাদ আলীর নজরে আসে। পরে তিনি ওই দুই ছাত্রের কাছ থেকে মোবাইল নম্বর নিয়ে তাদের অভিভাবকদের আসতে বলে। সন্ধান পেয়ে সকালেই দুজনের পরিবারের সদস্যরা রাজশাহীর চারকোট এলাকায় পত্রিকা বিক্রির দোকানদার সুজাদ আলীর কাছে ছুটে যায়। এরপর দুইজনকে উদ্ধার করে সন্ধ্যায় কুমারখালী থানায় নিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, শুক্রবারে বিকেলে মাঠে খেলা দেখতে গিয়ে হারিয়ে যাওয়া দুই ছাত্রকে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় সংবাদ দেখে খুঁজে পাওয়া গেছে।
কুমারখালী থানার ডিউটি অফিসার এসআই মো. নুরন নবী বলেন, নিখোঁজের ঘটনায় গত বুধবার থানায় জিডি করা হয়েছিল। আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা ৬টার দিকে স্বজনরা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে দুই ছাত্রকে। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।