সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের বিসিক শিল্পনগরীর সামনে জিরোপয়েন্টে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধ ভ্যান চালক গুরুতর আহত। বৃদ্ধ ভ্যানচালক মেঘনার মোড়ের গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা মৃত রুপচাঁদ গাজীর পুত্র কুদ্দুস গাজী (৬৫) জানায় আমি ভ্যান চালিয়ে বিনেরপোতা থেকে শহরের দিকে যাচ্ছিলাম। বিসিকের সামনে জিরোপয়েন্ট ব্রিজের উপরে উঠলে ভোমরা থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতগামী কাঁচা-ঝাল বোঝাই একটি ট্রাক যার নম্বর-সাতক্ষীরা ট ১১-০৩১৮ বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে এসে আমার ভ্যানে স্বজোরে ধারা দেয়। এতে আমার ভ্যানটি ঘটনাস্থলে দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং আমার পায়ে ও শরীরে রক্তাক্ত জখম হয়। এ সময় স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে তৎক্ষনাৎ হাসপাতলে পাঠিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। পরে স্থানীয় এক পাতি শ্রমিক নেতা আমাদের বিভিন্ন ধরনের ভয় ভীতি দেখিয়ে কোন আইনী পদক্ষে না গ্রহণ করার জন্য হুমকি প্রদান করে। আমি একজন হতদরিদ্র ভ্যান চালক। একদিন ভ্যান না চালালে আমার সংসার চলে না। বৃদ্ধ স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে এমনিতেই বিপদে আছি। তাই আমাকে অনেক বুঝিয়ে আমার ক্ষতিগ্রস্ত ভ্যানটি মেরামত ও আমার চিকিৎসা বাবদ ২০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা হলেও ১৮ হাজার টাকা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। আমার কিছু করার নাই। স্থানীয় সচেতন মহল ও প্রত্যক্ষদোর্শীরা চাঁপা ক্ষোভের সাথে জানায় এত বড় একটি দুর্ঘটনার হাত থেকে বৃদ্ধটি আল্লাহর অশেষ রহমতে জীবন ফিরে পেলো কিন্তু গাড়ি চালক নাম মাত্র কয়েকটি টাকা অসহায় ভ্যানচালকের হাতে দিয়ে রেহাই পেয়ে গেল। এই ভাবে অধিকাংশ সড়ক দুর্ঘটনা পাতি নেতাদের মধ্যস্থতায় দায় সারা ভাবে মিমাংসার হয়ে যায়। উল্লেখ্য ভুক্তভোগীর যদি কোন অভিযোগ প্রশাসনের কাছে না থাকে তাহলে প্রশাসনের কিছুই করা থাকেনা। এখানে প্রশাসন ও অসহায়।