তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জনগণ বিএনপিকে আর মানুষ পোড়ানোর অপরাজনীতির সুযোগ দেবে না।
তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণ বিএনপি ও মির্জা ফখরুল সাহেবদের মানুষ পোড়ানোর অপরাজনীতি করার সুযোগ আর দেবে না। গাড়ি, দোকানপাট পুড়িয়ে জনগণের সম্পদ নষ্ট করাও আর সম্ভবপর হবে না। তাই বিএনপিকে বলবো, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে আপনাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুন।’
মন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার নুরুচ্ছফা তালুকদার অডিটোরিয়ামে নিজ নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালীর (আংশিক) উপজেলা স্থানীয় সরকারের বর্তমান ও সাবেক জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন।
‘বিএনপি যতই সময় দেবে না বলে, ততই জনগণ আমাদের সময় বাড়িয়ে দেয়’ উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এখন প্রতিদিন টেলিভিশনের পর্দায় এবং পত্রিকার পাতায় দেখতে পাই, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা সরকারকে আর একদিনও সময় দেবে না। এভাবে সময় না দেওয়ার মধ্যে আল্লাহর রহমতে সাড়ে ১৪ বছর আমরা ক্ষমতায় আছি।’
তিনি বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আগামী নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করুন, জনগণ কাদের সাথে আছে তা পরখ করে দেখুন। ইনশাল্লাহ আগামী জাতীয় নির্বাচনেও এ দেশের মানুষ আবারও ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে পরপর চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করবে এবং দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেবে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০৬ সালে বিএনপি সরকারের বাজেট ছিলো ৬১ হাজার কোটি টাকা। এবার আমাদের বাজেট হলো ৭ লক্ষ ৬১ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা। বাজেটের আকার তাদের চেয়ে সাড়ে ১১ গুণ বড়।
গ্রামে এখন শহরের সমস্ত সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গ্রাম হবে শহর’ ছিলো গত নির্বাচনে আমাদের স্লোগান। সমগ্র বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ছোঁয়ায় পাল্টে গেছে। দেশ এখন বদলে গেছে, বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম বদলে গেছে। আজকের বাংলাদেশের চিত্রের সাথে ১৫ বছর আগের চিত্রের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরা হলেন সরকারের উন্নয়নের চিত্র জনগণের কাছে পৌঁছানোর আসল মাইক। মানুষ আপনাদের কথা শোনে, আপনাদের কথা বিশ্বাস করে। মানুষের কাছে সরকারের বার্তা পৌঁছানোর জন্য আপনারা সেতুবন্ধ রচনা করেন। তাই সাধারণ জনগণের মাঝে আজকে যে দেশটি পরিবর্তন হয়ে গেছে এই বার্তাটি পৌঁছে দিতে হবে।
রাঙ্গুনিয়ার ১৫টি ইউনিয়ন ১টি পৌরসভা ও বোয়ালখালী উপজেলার শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নে ২০০৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার, মেয়র ও কাউন্সিলররা অংশগ্রহণে এ সভায় রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদারের সভাপতিত্বে ও উত্তর জেলা কৃষক লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম এবং রাঙ্গুনিয়া আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ৪ সম্পাদক ইকবাল হোসেনের সঞ্চালনায় বোয়ালখালী উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাজা, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কাশেম চিশতি প্রমুখ বক্তব্য দেন।