রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের পীরগঞ্জ উপজেলা সীমানার রামনাথপুর বোর্ডের ঘর নামক স্থানে আজ এক সড়ক দুর্ঘটনায় পিতা ও পুত্র নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো অনেকে। বেলা ১১টা ২০মিনিটে দু’টি যাত্রীবাহী বাস ও একটি ট্রাকের মধ্যে এই ত্রিমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উপজেলার রাঁধাকৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা দুরামিঠিপুর দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা আজিজুর রহমানের ছেলে আল-আমিন ও তার নাতী ফাহিম নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হয়। পুলিশ ও পীরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে আহতদের পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার রতন চন্দ্র শর্মা জানান, কুড়িগ্রাম উলিপুর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী এনা পরিবহনের বাসের সঙ্গে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা লালমনিরহাটগামী অনিন্দ পরিবহন ও রংপুর থেকে ছেড়ে আসা বগুড়াগামী ঢাকা মেট্রো-ট ২২-৫৪৯৬ নম্বরের ট্রাকের ত্রিমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এনা পরিবহন দ্রুতগতিতে ওভারটেকিং করতে গিয়ে প্রথমে অনিন্দ পরিবহনের সম্মুখভাগে ধাক্কা দেয়। পরে ট্রাককে ধাক্কা দিয়ে মহাসড়ক থেকে নিকটবর্তী মার্কেটের খাদে গিয়ে ছিটকে পড়েছে। এতে ট্রাকটি মহাসড়ক থেকে ছিটকে উল্টে খাদে পড়ে যায়। অনিন্দ ও এনা পরিবহনের সম্মুখভাগ দুমড়ে মুচড়ে গেছে। এনা পরিবহনের চালকের পিছনের সিটে বাবা ও মায়ের কোলে বসে থাকা শিশু ফাহিম ঘটনাস্থলে নিহত হয়। ফাহিমের বাবা আল-আমিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত্যুবরণ করেন। মা মিথিলা বেগমকে আশংকজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে মিথিলা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বলে জানান আত্মীয়রা। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দু’টি ইউনিট, পীরগঞ্জ থানা ও বড়দরগাহ হাইওয়ে ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন। পুলিশ পিকআপ, ফায়ার সার্ভিস এ্যাম্বুলেন্স ও ভ্যান-রিক্সা যোগে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। এ সময় দুই বাসের যাত্রী মিথিলা, আবু হোসেন, গণি মিয়া, রেজাউল, আনোয়ার, সাজু মিয়া, বুলবুলি, রায়হান, নাজিফা ও সোহেলসহ ১০জনকে আশংকাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। অপরদিকে পারভিন, হালিমা ও শামীমসহ তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল ইসলাম জানান- দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি তিনটি হাইওয়ে পুলিশ ফাঁগিতে আটক রয়েছে। নিহতদের স্বজনরা দাফন কার্যসম্পাদনের জন্য লাশগুলো নিয়ে গেছেন। অভিযোগ না থাকায় লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়নি।