যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) কখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলেনি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল শনিবার ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে তেজগাঁওয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। আমরা তাদের বলে দিয়েছি নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী অবাধ হবে। আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আমরা যতগুলো বৈঠক করেছি কখনো তারা বলেনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনতে হবে, তারা কখনো বলেনি প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করতে হবে, তারা বলেনি পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে হবে। আমাদের সংবিধান অনুযায়ী একটা সুন্দর ক্রেডিবল নির্বাচন হবে। মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা একটা স্বচ্ছ নির্বাচন করবো এটা তাদের আমরা জানিয়ে দিয়েছি। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও জানিয়ে দিয়েছেন সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন স্বচ্ছ ও অবাধ হবে। মার্কিন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশে আগমন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, মার্কিন প্রতিনিধি দল আসছে নির্বাচন সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে নয়। তারা রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি জানতে আসছেন। আর ইইউ প্রতিনিধি দল আসছে নির্বাচনে পর্যবেক্ষক দল কীভাবে পর্যবেক্ষণ করবে তা দেখতে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, রাজধানীর চারপাশে আউটার সার্কুলার নিয়ে ফিজিবিলিটি স্টাডি চলছে। আওয়ামী লীগ সরকারই দেশে প্রথম চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেল, মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, এক্সপ্রেসওয়ে করছে। পরবর্তী নির্বাচনে যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরে আসে তাহলে আউটার সার্কুলারসহ অন্যান্য পরিকল্পনা সময় মতো বাস্তবায়ন হবে। এসময় বিএনপিসহ ৩২ দলের এক দফা আন্দোলন নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ৩২ দলের এই জগাখিচুড়ির ঐক্যে এক দফার আন্দোলনের পতন অনিবার্য। যে লক্ষ্য নিয়ে জগাখিচুড়ির এই ঐক্য তাতে ফল আসবে অসহনীয়। ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার যেমন আছে তেমনই থাকবে। একটা ঢেউও তো জাগাতে পারেনি। তাদের আন্দোলনের নেতা কে? ক্যাপ্টেন ছাড়া কি জাহাজ চলবে? এই জগাখিচুড়ি ঐক্যে দফায় দফায় পরিবর্তন। এই ৩২ দল টিকবে কি না তার গ্যারান্টি নেই। আগে তো ছিল ৫৪ দল। এই জগাখিচুড়ি ঐক্যের পতন অনিবার্য। নুরু ও রেজা কিবরিয়ারা এক সঙ্গে নেই ভাঙন ধরেছে। সামনে কি হয় সেটা দেখেন।