খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বর্তমানে দেশে ২১ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য শস্য ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন খাদ্য গুদাম রয়েছে। ধারন ক্ষমতা বাড়িয়ে ৩৫ লাখ মেট্রিক টন করার জন্য গুদাম নির্মানের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। রোববার দুপুরে মহাদেবপুর উপজেলার সরস্বতীপুর এলাকায় ১ হাজার মেট্রিকটন ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন নবনির্মিত খাদ্য গুদামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন। সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে কৃষকদের নিকট থেকে সরকারিভাবে আরও অতিরিক্ত ফসল ক্রয় করে তাদের উৎপাদিত পণ্যের নায্য মূল্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। কারন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার কৃষক বান্ধব সরকার। রাজশাহী বিভাগের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জহিরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য মোঃ ছলিম উদ্দিন তরফদার, জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক, নওগাঁ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ তানভীর রহমান, মহাদেবপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আহসান হাবীব প্রমুখ। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার ১৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সারাদেশে আরও ২০০টি প্যাডী সাইলো নির্মানের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। ইতোমধ্যে ৩০টি সাইলো নির্মান কাজের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এসব সাইলো সম্পূর্ণভাবে ডিজিটালইজড প্রক্রিয়ায় নির্মিত হচ্ছে। তিনি বলেন, কৃষকরা ক্ষেত থেকে কাঁচা ধান সরাসরি এসব সাইলো’তে দিলে প্রয়োজনীয় আদ্রতা নিশ্চিত হয়ে গুদামজাত হবে। এ ছাড়াও প্রতিটি গুদাম ডিজিটাইজড করে সরকারের কঠোর নজরদারী বলবৎ থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে খাদ্য ব্যবস্থা আরও গতিশীল করার লক্ষেই এসব পরিকল্পনা সরকার হাতে নিয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী জানান, শীঘ্রই নওগাঁয় একটি বাফার গুদাম নির্মানের কাজ শুরু হবে। জেলার পার্শ্ববর্তী সান্তাহারে অবস্থিত বাফার গুদাম থেকে সার উত্তোলন করতে গিয়ে নওগাঁর সার ডিলারদের নান রকম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। কৃষিভিত্তিক জেলা নওগাঁর কৃষকদের নির্বিঘ্নে সার সরবরাহের জন্য এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মহাদেবপুর উপজেলার চাউল কল মালিকদের দীর্ঘদিনের দাবীর প্রেক্ষিতে ২ কোটি ৯২ লাখ ৫৪ হাজার ৮৬৮ টাকা ব্যয়ে সারাদেশে নতুন গুদাম নির্মান প্রকল্পের আওতায় সরস্বতীপুর এলএসডি গুদামটি নির্মান করে খাদ্য বিভাগ।