সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহের উদ্যোগ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। গতকাল রোববার (২৫ জুন) জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ ও দপ্তর/সংস্থার সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার বড় হয়েছে। জ্বালানির গুরুত্ব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিদ্যুতের সাফল্যের নেপথ্যে জ্বালানি কাজ করছে। তাই জ্বালানির সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন হওয়া বাঞ্ছনীয়। বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি সংশ্লিষ্টদের গুরুত্ব সহকারে কাজ করার প্রস্তুতি গ্রহণে সহায়তা করে। ভবিষ্যতের চাহিদা পূরণ এবং লক্ষ্য বাস্তবায়ন দ্রুত হওয়া আবশ্যক। এপিএ বাস্তবায়নে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগকে অবশ্যই প্রথম দিকে থাকতে হবে। নতুন নতুন গ্যাস কূপ অনুসন্ধান, নতুন/ওয়ার্কওভার কূপ খনন, গ্যাস উৎপাদন, এলএনজি আমদানি, জ্বালানি তেল আমদানি, গ্যাস ও তেল সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ, আইন/বিধি/নীতিমালা প্রণয়ন ইত্যাদি লক্ষ্যমাত্রা বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ফলে এ বিভাগের কার্যক্রমের গতি ব্যাপকভাবে প্রসারিত হয়েছে। এপিএতে লক্ষ্যমাত্রা অন্তর্ভুক্ত থাকার ফলেই দেশে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ করার কার্যক্রম ত্বরান্বিত হচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০২২-২৩ অর্থবছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার- বিএমডির মহাপরিচালক (অ. দা) মো. আ. খালেক মল্লিক, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মো. জাকির হোসেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সরকার মোহাম্মদ ফায়জুল হক এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অফিস সহায়ক মো. আমিনুল ইসলামকে প্রদান করা হয়। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমিন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, বিপিআই-এর ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক খেনচান, হাইড্রোকার্বন ইউনিট-এর মহাপরিচলাক তাহমিনা ইয়াসমিন, ডিপার্টমেন্ট অব এক্সক্লুসিভ-এর চিফ ইন্সপ্যাক্টর মোহা. নায়েব আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।