কোরবানি ঈদে মুজিবনগর উপজেলার মোনা খালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান স্বেচ্ছাচারিতায় মোনাখালি ইউনিয়নের রামনগর ও ভবানিপুর (৮ নং ওয়ার্ড) দুই গ্রামে শতাধি হত দরিদ্র ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত। এ দুই গ্রামের ১শ ১১ জন পুরুষ ও মহিলার ১০ কেজি করে চাল পাওয়ার কথা। কিন্তু তারা কেউই ভিজিএফএর চাল পাইনি। মোনাখালি ইউনিয়নের চেয়ার ম্যান বিষয়টি অস্বিকার করলেও চাল বিতরণের দায়িত্ব প্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার বিষয়টি অস্বিকার করেননি। গ্রামবাসির অভিযোগ তারা গত বছর ঈদের চাল পেয়েছিলো এবার অন্য ৮টি ওয়ার্ডে চাল দেওয়া হলেও তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। ওয়াড মেম্বার চাল দেওয়ার আশ^াস দিলেও গ্রাম বাসি চাল নিতে এসে ফিরে যাচ্ছে। রামনগর গ্রামের হতদরিদ্র বেদানা খাতুন বলেন, আমরা দুই গ্রামের মানুষ চালের জন্য দাড়িয়ে আছি। আমি সহায় সম্বলহিন বিধাব। আমার কেউ নেই কিন্তু কোন এক অজানা কারনে চাল পাচ্ছিনা। গত রোজার ঈদেও চাল পাইনি বরং ইউনিয়ন পরিষদের লোকজনের ধমকে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি গিয়েছি। ৮ নং (রামনগর ভবানিপুর) ওয়ার্ড মেম্বার সিরাজুল ইসলাম বলেন প্রতি বছর চাল প্রদানের তালিকা করা হলেও এবার কোন তালিকা করা হয়নি। আমার ওয়ার্ডে কেউ চাল পাইনি বিষয়টি আমি চাল বিতরণের দায়িত্বে থাকা ট্যাগ অফিসার কে আভিযোগ করেছি। তিনি চেয়ারম্যানকে ফোন দিয়ে জানান অন্য জনার মাধ্যমে চাল দেওয়া হচ্ছে। তবে এখনও আমি ভবানিপুর রাম নগর গ্রামের কাউকে চাল দিতে দেখেনি। ৯ নং ওয়ার্ডের পালু মেম্বার বলেন আমাকে ৪১ টি স্লিপ দেওয়া হয়েছে আমি জনগনের মধ্যে তা দিয়ে দিয়েছি । ওয়ার্ডের বাকি স্লিপ কোথায় জানিনা। চেয়ার ম্যান মফিজুর রহমান বলেন, ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার অন্য মতাদর্শের হওয়ায় তাকে শ্লিপ দেওয়া নিষেধ আছে। তবে চাল দেওয়া হয়েছে। চাল বিতরণে দেখভালের দায়িত্বে থাকা ট্যাগ অফিসার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এখানে ১ হাজার জনকে ১০ কেজি চাল দেওয়া হবে। আমার দায়িত্ব মানুষজন শ্লিপ নিয়ে এসে চালটা সঠিক মাপে পাচ্ছে কিনা। কে পাইলো না পাইলো সেটা সেটা চেয়ারম্যান মেম্বারদের ব্যাপার । তবে তিনি বলেন রাম নগর ও ভবানিপুর গ্রামের চাল নিতে আশা কোন লোক দুপর পর্যন্ত তিনি পাননি।