রোবট বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন, খানসামা উপজেলার ২নং ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামের রনজিৎ রায়ের ছেলে অনুকূল রায়। তার তৈরি রোবটটি কথা বলতে না পারলেও সামনে-পিছনে এগিয়ে যাওয়া ও হাতের বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি সবকিছু করতে পারে সমান তালে। সহযোগিতা পেলে এমন আরও দৃষ্টান্তমূলক কাজ করবে জানান অনুকূল রায়। দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় আঙ্গারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অনুকূল রায়। অষ্টম শ্রেণী থেকেই কিছু একটা করার আশায় বিভিন্ন ধরনের আবিস্কার করে আসছিলেন অনুকূল রায় । সরকারী সহযোগিতা পেলে ভিন্ন কিছু উপহার দিতে চায় দেশবাসীকে। রোবটটি তৈরি করতে ৯ মাসের চেষ্টায় আসে সাফল্য। রোবট তৈরিকারী শিক্ষার্থী অনুকূল রায় বলেন, ‘এখানে আমার প্রায় তিন হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আমি চেয়েছিলাম কম খরচে এটি বানাতে। আমাকে যদি টাকা দিয়ে সহযোগিতা করে সরকার তাহলে ছয় হাজার টাকা খরচ করলে কথা বলতে পারবে এই রোবটটি এবং প্রতিটা নাগরিক যেন এটাকে ব্যবহার করতে পারে বিভিন্ন ক্ষেত্রে।’ রোবটটি দেখতে আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী, বন্ধু-বান্ধবসহ উৎসুক জনতা প্রতিদিনই ভিড় করছেন। প্রয়োজনীয় অর্থ ও কারিগরি সহায়তা পেলে মেধাকে আরও কাজে লাগাতে চান অনুকূল চন্দ্র রায়। ঐ প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মো. আজিজুল হক বলেন, ’এটা অবশ্যই আশাব্যাঞ্জক। আমাদের মতো এমন একটি দেশে, প্রত্যন্ত এলাকার শিক্ষার্থীরা তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে নানা ধরনের নতুন নতুন প্রযুক্তি আবিস্কার করছে। এতে আমরা আশাবাদী যে, আমাদের দেশ আগামীতে আরো উন্নত বাংলাদেশে পরিণত হবে।’ অনুকূল যদি সরকারী সহযোগিতা পায় তাহলে সে অবশ্যই ভাল কিছু করবে। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে তাকে সহযোগিতা করব। এ বিষয়ে অনুকুলের বাবা রনজিৎ রায় বলেন, ছেলেটা তার হাত খরচা বাচিঁয়ে এটা তৈরি করেছে। আমি কৃষক মানুষ ওর পিছনে এত টাকা খরচ করার অবস্থা আমার নেই। সে ছোট থেকে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করতে চাইত। সরকারী সহযোগিতা পেলে ছেলেটি ভাল কিছু করতে পারবে। আপনারা ওর জন্য আর্শিবাদ করবেন ও যেন ভাল কিছু করতে পারে, ভবিষ্যতে।