বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন বলেছেন, এখন থেকে দিনাজপুর, রংপুর, ঢাকা যেতে হবে না। আমাদের ছেলে মেয়েরা ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়েই উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করতে পারবে। এখানে প্রায় ৫০ হাজার ছেলে মেয়েকে পড়াশুনা করতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয় চালু হওয়ার সাথে সাথে আমাদের জেলা আরও উন্নত জেলায় পরিনত হবে। আজকে আমরা এত সাফল্য অর্জন করেছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য। আপনারা ঐক্যবদ্ধ থেকে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করবেন। তিনি ১৪ জুন বুধবার বিকেলে আ’লীগ দলীয় কার্যালয়ের সামনে ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ের চুড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। এর আগে ব্যান্ড পার্টি, আতশবাজীর মধ্য দিয়ে একটি আনন্দ র্যালি আ’লীগ দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ২৯ মার্চ ঠাকুরগাঁওয়ে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমরা যে কয়েকটি জিনিস উত্থাপন করেছিলাম, ১২টি প্রকল্পের প্রায় সবগুলোই ইতিমধ্যে বাস্তবায়ন হয়ে গেছে। আমরা ইতিমধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ঠাকুরগাঁও-ঢাকা রেল,ঠাকুরগাঁও-পীরগঞ্জ-রানীশংকৈল মহাসড়ক প্রস্বস্তকরণ, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল হয়ে গেছে। শুধু মাত্র আইটি পার্ক, কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল ও ২/১ টি কাজ বাকি রয়েছে, সেগুলোও হয়ে যাবে। করোনা মোকাবেলা করেও আমরা উন্নয়ন পিছিয়ে রাখিনি। আমাদের রাস্তাঘাট প্রায় ৮শ থেকে ৯শ কিলোমিটার হয়ে গেছে। আমাদের রাস্তাগুলো আজ অনেক উন্নত, ৪ লেনের রাস্তার উপরে আমরা দাড়িয়ে আছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হয়েছে এবং উন্নত দেশে পরিনত হতে চলেছে। ঠাকুরগাঁও জেলা সব দিক দিয়েই আজ উন্নত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় চালু হলেই এখানে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। আমরা চাই প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আমরা শক্তিশালী করতে কাজ করে যাবেন। আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকেন, ঐক্যবদ্ধ থাকলেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাই চাবেন তাই পাবেন। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঠাকুরগাঁওয়ের কথা শোনার সাথে সাথে প্রায় প্রত্যেকটি প্রকল্প পাশ করে দিয়েছেন। ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় পাশ হয়ে এখন যাবে সংসদে। সেখানে আমি রয়েছি, সেখানে অসুবিধা হবে না। প্রধানমন্ত্রী যেখানে পছন্দ করবেন সেখানেই ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হবে। যে জায়গায় মানুষ খুব তারাতারি যেতে পারবে, সহজেই যেতে পারবে, যেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা সবচেয়ে ভাল সেখানেই হলে ভাল হবে। বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ রেল লাইন ঠাকুরগাঁওয়ে আছে। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ আমাদের সাথে পারবে না। ৮০ সালে ঠাকুরগাঁও কি ছিল, আজ ২৩ সালে কি হয়েছে। আমরা জেলাটাকে উন্নত করতে পেরেছি। মানুষ আজ শান্তিতে থাকতে চায়, আমরা আপনাদের শান্তিতে রাখবো। সারা বিশ্বে মন্দা চলছে। তার পরও আমাদের দেশ অনেক ভাল আছে। বিএনপি জামায়াতের যে সমস্ত ভাইয়েরা আমাদের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করছেন তাদের আমি সাবধান করে দিচ্ছি। আ’লীগ সরকার অত সহজ সরকার নয়, কঠিন সরকার। আ’লীগ জনতার দল, জনতার দল কি পারে না করতে। পারে দেশকে উন্নত দেশে পরিনত করতে। আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা আ’লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুহ: সাদেক কুরাইশী, সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায় প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা আ’লীগের প্রচার সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রিপন। সভায় উপস্থিত ছিলেন, প্রয়াত বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সাবেক সফল সংসদ সদস্য খাদেমুল ইসলামের পুত্র ও বাংলাদেশ কনসুলেট জেনারেল দুবাইয়ের মিনিস্টার ও ডেপুটি কনসুল জেনারেল মো: শাহেদুল ইসলাম শাহেদ, জেলা আ’লীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুবুর রহমান বাবলু, মাহাবুবুর রহমান খোকন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট অরুনাংশু দত্ত টিটো, সাধারণ সম্পাদক মোশারুল ইসলাম সরকার, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সুনাম, জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল, সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দত্ত সমীরসহ আ’লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা, কর্মী ও সমর্থকগণ।