পুরাতন ইটভাটা গুলো পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। অপর দিকে অবৈধভাবে ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় সকলের নিরবতায় তিন ফসলী জমিতে নতুন ইটভাটা নির্মাণ কাজ চলমান থাকায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে জনমনে। ইতিপূর্বে সংবাদ প্রকাশের পর ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের তোপের মুখে উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে নতুন নির্মাণাধীন অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটা ভেঙ্গে ফেলার জন্য সাত দিনের সময় নিয়ে মুচলেকা দেন ভাটা মালিক গোকুল চন্দ্র। গত ১৮ মে বৃহস্পতিবার পলাশবাড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস.এম ফয়েজ উদ্দীন এক অভিযানে পশ্চিম গোপীনাথপুর মৌজায় গড়ে ওঠা ওই নতুন ইটভাটা নির্মাণ কার্যক্রম বন্ধ করেন। সেই সঙ্গে আগামী সাত (৭) দিনের মধ্যে উক্ত ইটভাটা মালিক পক্ষ নিজেরাই ভেঙ্গে নিবেন বলে মুচলেকা গ্রহণ করেন। তবে অদৃশ্য কারণে মুচলেকার ৭ দিন পেরিয়ে ২২ দিন পেরিয়ে গেলেও ইটভাটাটি না ভেঙ্গে ইটভাটার চিমনি নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়েছে। এখন চলছে অবৈধভাবে ইটভাটার ব্যাটারী নির্মাণ কাজের পরিকল্পনা। তবে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা নতুন ইটভাটাটির উপর দিয়ে ৩৩ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের তার দেখা যায়। পলাশবাড়ী উপজেলার ৪নং বরিশাল ইউনিয়নের পশ্চিম গোপীনাথপুর গ্রামে একটি নতুন ইটভাটা তৈরির উদ্দেশ্যে চিমনি নির্মাণ কার শুরু করেন গোকুল চন্দ্র। এ বিষয়টি স্থানীয় সংবাদিকদের নজরে আসলে তা নিয়ে খবর প্রকাশ হলে ওই ভাটা বন্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ভাটা নিজ উদ্যোগে ভেঙ্গে ফেলার জন্য ভাটা মালিকের নিকট মুচলেকা গ্রহণ করেন। মুচলেকা অনুযায়ী ভাটা না ভেঙ্গে ভাটা নির্মাণ কাজ চলমান রাখায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস.এম ফয়েজ উদ্দীন নিয়মিত মামলা দায়ের কথা জানালেও আদৌ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তবে উক্ত ইটভাটার নির্মাণের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান নয়ন। তবে সে আশ্বাসের কোন প্রতিফলন দেখা যায়নি। অপরদিকে অভিযানের পর হতে দিনের পর দিন পেরিয়ে গেলেও ইটভাটা ভেঙ্গে ফেলার মুচলেকা দিয়ে অবৈধভাবে ইটভাটা নির্মাণ কাজ চলমান থাকায় পলাশবাড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা চলছে সর্বস্তরের মানুষের মাঝে।