চলতি বছরের মে মাসে দেশজুড়ে ৪৯১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৬৩১ জন। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। শুক্রবার (৯ জুন) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। একই সময় রেলপথে ২৫টি দুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত, ৬ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ৬টি দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত, ২ জন নিখোঁজ হয়েছেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তারা পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করে দেখেছে এসব দুর্ঘটনার মধ্যে ১৬৫টি জাতীয় মহাসড়কে, ২০১টি আঞ্চলিক সড়কে, ৭৩টি গ্রামীণ সড়কে, ৪৮টি শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে চারটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। মে মাসে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে ঢাকা বিভাগে, যেখানে ১৩৪টি দুর্ঘটনায় ১০২ জন নিহত হয়েছেন। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ২১টি দুর্ঘটনা ও বরিশাল বিভাগে দুর্ঘটনায় সবচেয়ে কম ২০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ১৪১ জন, বাসযাত্রী ৬ জন, ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি-ট্যাঙ্কার আরোহী ৩৬ জন, প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স আরোহী ১৮ জন, থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-মিশুক) ৬৮ জন, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-করিমন-মাহিন্দ্র-ইটভাঙ্গা মেশিন গাড়ি) ১৫ জন এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-রিকশা ভ্যান আরোহী ২০ জন নিহত হয়েছেন। পর্যবেক্ষণে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলছে, যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বেশির ভাগ দুর্ঘটনা হয়েছে। অর্থাৎ অতিরিক্ত গতির কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়কে যানবাহনের বেপরোয়া গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে দুর্ঘটনা কমানো যাবে না। গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য মোটিভেশনাল প্রশিক্ষণ যেমন দরকার, তেমনই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা অর্জনও প্রয়োজন।