রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ইস্যুতে বাংলাদেশের তালিকা যাচাইয়ে ২য় দফায় মিয়ানমার সরকারের ১৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল কক্সবাজারের টেকনাফে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকাল ১০টার দিকে প্রতিনিধিদলটি নাফনদী হয়ে টেকনাফ জেটিতে এসে পৌঁছায়। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের কাছে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের যে তালিকাটি পাঠিয়েছিল তা যাচাই করতে মিয়ানমারের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে এসেছে। প্রতিনিধিদলটি শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) সঙ্গে বৈঠক করবে। পাশাপাশি তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলবে। তিনি জানান, প্রতিনিধিদলটি কোনো রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবে না। সকালে বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের বন্দর বিশ্রামাগার চত্বরে নিয়ে আসা হয়েছে। এর আগে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিপীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশে মানবিক আশ্রয় পাওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে প্রথম তালিকার ১৬৮ পরিবারের ৪৮০ জনের তথ্য যাচাই-বাছাই ও সাক্ষাৎকার শেষে মিয়ানমারের ১৭ সদস্যের টেকনিকেল টিম বুধবার (২২ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে নাফনদী হতে টেকনাফ চৌধুরী পাড়ার ট্রানজিট জেটিঘাট দিয়ে মিয়ানমারের উদ্দেশ্য রওনা দেয়। প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে দেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রথম তালিকার যাচাই-বাছাই করতে মিয়ানমারের ১৭ সদস্যের একটি টেকনিকেল টিম ১৫ মার্চ (বৃহস্পতিবার) সকালে টেকনাফ ট্রানজিট জেটিঘাট হয়ে বাংলাদেশে আসেন। মিয়ানমারের কাছে পাঠানো প্রথম তালিকাটি থেকে গত সাত দিনে ১৬৮ পরিবারের ৪৮০ জনের তথ্য যাচাই-বাছাই ও সাক্ষাৎকার প্রক্রিয়া শেষ করেন। যাদের সাক্ষাৎকার গ্রহন করা হয়েছে তাদের থেকে বাংলাদেশের আশ্রয় শিবিরে জন্ম নেওয়া ওই পরিবারের শিশুদেরও নথিভুক্ত করেছে টেকনিকেল টিম। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সরকার রাখাইনে সেনা অভিযান শুরু করার পর রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। শেখ হাসিনা সরকার উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি ক্যাম্পে সাত লাখের অধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়। এর আগেও বিভিন্ন সময় বাংলাদেশে আসা আরো চার লাখ রোহিঙ্গা মিলিয়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয়। বর্তমানে সাড়ে ১২ লাখ রোহিঙ্গার উপস্থিতি রয়েছে।