কুবি প্রতিনিধি:কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ শান্তির পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ই মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ৪১১ নম্বর কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. জাহিদ হাসানের সঞ্চালনায়
এই আলোচনার সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতো প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এফ এম আবদুল মঈন ও প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৩১১ নং আসনের সংসদ সদস্য আরমা দত্ত।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুবি উপাচার্য বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যে দর্শন বুকে ধারণ করতেন তা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, সারা বিশ্বের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ধারণ করেছেন। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, সারা বিশ্ব দুই ভাগে বিভক্ত, একভাগে শোষক আর একভাগে শোষিত এবং তিনি ছিলেন শোষিতের পক্ষে।’
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কখনো আপসের পথে হাঁটেননি। একইভাবে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর দর্শন ধারণ করে বিশ্ব শান্তি স্থাপনের জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। শান্তি প্রতিষ্ঠায় তিনি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি করে এবং আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীনদের মুখে হাসি ফুটানো ও বয়স্ক ভাতা চালুসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে শান্তি স্থাপন করেছেন। দেশ ও বিশ্বে শান্তি স্থাপনে নিরলস পরিশ্রম করার কারণে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে নোবেল পুরস্কারে ভুষিত করার জন্য আমাদের সকলকে ভেদাভেদের উর্ব্ধে উঠে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের নিকট আহ্বান জানানো উচিত।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে সংসদ সদস্য আরমা দত্ত বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন নির্যাতিত, শোষিতের পক্ষে। সারাজীবন তিনি সাধারণ মানুষের পক্ষে কাজ করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর শান্তির বাণী ছড়িয়ে পড়ুক দেশ ও বিশ্ববাসীর কাছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
সবশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও পরামর্শক ও নির্দেশনা কার্যালয়ের পরিচালক ড. মোহা হাবিবুর রহমানের সমাপনী বক্তব্যে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।
এ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবির, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এর আগে আরমা দত্তকে সাথে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
উল্লেখ্য, ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী জঁ ফ্রেডেরিক জুলিও কুরি ১৯৫৮ সালে মৃত্যুর পর বিশ্বশান্তি পরিষদ তাদের শান্তি পদকের নাম ১৯৫৯ সাল থেকে রাখে ‘জুলিও কুরি’।