
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার ঐতিয্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আলফাডাঙ্গা আরিফুজ্জামান পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠা হয়। দির্ঘ ৪২ বছর পর ১৯৮০ সালে স্কুলটি এমপিও ভূক্ত হওয়ার পরে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে জাতীয়করণের ঘোষণা হয়। তখন বিদ্যালয়টির নামকরণে পরিবর্তন হয়ে আলফাডাঙ্গা আরিফুজ্জামান (মডেল) পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় নামকরণ কয় । বর্তমান বিদ্যালয়ে সহস্রাধীক ছাত্রছাত্রী রয়েছে। সরকারি ভাবে কার্যকর হওয়ায় স্কুলের শিক্ষক ও কর্মচারীদের হাতে নিয়োগ পত্র হাতে পৌঁছানোর পর বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, স্কুলের কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। এসময় একটি উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক সাবিহা সুলতানা বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানটি সরকারি হবে এটা ছিল আমাদের দির্ঘদিনের স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন সফল হওয়াতে একজন শিক্ষক হিসেবে আমার কাছে অনেক আনন্দের সংবাদ। এ স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতি বছর পরিক্ষায় ভালো ফলাফল করে থাকেন। ভালো পড়ালেখার বিকল্প নেই। আশা রাখি শিক্ষক, অভিবাবক, ছাত্র-ছাত্রীদের চেষ্টায় আগামিতে আমাদের পড়ালেখা আরো বেগবান হবে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজাদুল ইসলাম সরকারের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে বিদ্যলয়টির ইতিহাস, ঐতিহ্য, পড়ালেখার গুণগত মান নিয়ে ভূসয়ী প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণের জন্য জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ফরিদপুর-১ সংসদ সদস্য মনজুর হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আকরাম হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষাবন্ধব সরকার। তিনি আলফাডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করে শিক্ষকদের জন্য মহনতী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তা আমিসহ সকল শিক্ষক সমাজে বিরল হয়ে থাকবে।