ePaper

সন্ত্রাস দমন আইনে ২৪ আসামী নবীনগরে আরেকজন ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার ফের আতংক

হেলাল উদ্দিন, (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) নবীনগর

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় আরও একজন ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন। উপজেলা সদরের সালাম রোড থেকে রোববার বিকেলে ওই ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া ছাত্রলীগ নেতার নাম আল আমীন ফকির ডালিম। তিনি উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। সন্ত্রাস বিরোধী আইনে পুলিশ বাদী মামলায় যে ২৪ জনকে আসামী করা হয়, এরমধ্যে সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা ডালিম ১২ নম্বর আসামী। পুলিশ এ মামলায় এ পর্যন্ত মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। রোববার সন্ধ্যায় জাতীয় দৈনিক নবচেতনাকে এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নবীনগর থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক। এদিকে দীর্ঘদিন বিরতির পর হঠাৎ আবারও শহর থেকে এক ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তারের খবরে। স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে ফের গ্রেপ্তার আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ বাদী ওই মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, উপজেলার রাধিকা সড়কের কণিকাড়া ব্রীজের কাছে গত ৬ ডিসেম্বর নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের কয়েকজন সন্ত্রাসীসহ আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা লাঠিশোঠা ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বর্তমান সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে নাশকতা কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ পরে নবীনগর পৌর আওয়ামীলীগ নেতা জামাল হোসেন ও ছাত্রলীগ নেতা রাজীব মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। এজাহারে উল্লেখ করা, ওই বহুল আলোচিত ও সমালোচিত মামলায় যে ২৪ জনকে আসামি করা হয়, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন- জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য ও সাতমোড়া ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও লাউর ফতেপুর ইউপি’র আওয়ামীলীগ সেক্রেটারী জাকির হোসেন সাদেক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক দুই সাংগঠনিক সম্পাদক সফিকুল ইসলাম শফিক ও ভিপি আবদুর রহমান, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি বোরহান উদ্দিন আহমেদ নসু, সহ সভাপতি ভিপি বশির আহমেদ সরকার পলাশ, আওয়ামীলীগ নেতা শাহজাহান সিরাজ, স্বেচ্ছাসেবকলীগের দুই নেতা মির্জা সালাউদ্দিন সবুজ ও ওমর ফারুক, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি সামস আলম, সহ সভাপতি শামীম কবির, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবদুল্লাহ আল রোমান, সাবেক দুই আহবায়ক পারভেজ হোসেন ও আবু সাঈদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন ও ৫ আগস্টের পর বিদায়ী আওয়ামীলী এমপি ফয়জুর রহমান বাদলের প্রেস সেক্রেটারী আমীর হোসেন। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা জাতীয় দৈনিক নবচেতনার প্রতিনিধিকে বলেন, ’এটি সস্পূর্ণ মিথ্যা একটি রাজনৈতিক ও বাণিজ্য মামলা। যার কোনই ভিত্তি নেই। মূলত সরকারের ইশারায় বেছে বেছে আওয়ামীলীগের স্থানীয় এ্যাক্টিভ নেতাকর্মীদের ‘পলাতক’ রাখতেই পুলিশ বাদী হয়ে এ ধরণের হাস্যকর এ মিথ্যা মামলাটি করেছে। সুষ্ঠু তদন্ত হলে এসব জঘণ্য রাজনৈতিক মামলা কখনই টিকবে না।’ তবে এ বিষয়ে নবীনগর থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক রোববার সন্ধ্যায় জাতীয় দৈনিক নবচেতনাকে বলেন, ’সুনির্দিষ্ট অভিযোগ, সাক্ষী প্রমাণ ও তথ্যের ভিত্তিতেই এস আই আশরাফুল আলম বাদী হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে এ মামলা করেছে। মামলায় ২৪ জন আসামির মধ্যে এ পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকীদের ধরতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *