রবিউল ইসলাম (সাতক্ষীরা) শ্যামনগর
সাতক্ষীরা শ্যামনগরের হাবিবপুর শিয়া মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের সাব স্টেশন নির্মাণকরণের লক্ষ্যে পার্শ্ববর্তী রামচন্দ্রপুর এলাকার জনবসতি ও মিষ্টি পানির খাল থেকে বালি উত্তোলন করার সময় গ্রামবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন বন্ধ হলো। স্থানীয় ইউপি মেম্বার আব্দুস সামাদ বলেন, রামচন্দ্রপুর সরকারি খালের দু-পাশে স্থানীয়দের বসবাস, এছাড়া এ খালের পানি দিয়ে ওই এলাকার কৃষি জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফসল ফলানো হয়, বালি উত্তোলন করলে খালের পাড় ভেঙ্গে বসতবাড়ির ও পরিবেশের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকবে। উক্ত খালপাড়ের বসবাস কারী আকলিমা খাতুন ও নুরুন্নাহার বেগম বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে খালের দুপারে বসবাস করছি, জনবসতি এলাকার খাল থেকে বালি উত্তোলন করলে আমাদের ঘরবাড়ি ধসে পড়বে। ওই এলাকার কলেজ শিক্ষক রোকনুজ্জামান বলেন, রামচন্দ্রপুর খালের দুপাশে অনেক মানুষের বসবাস, এখান থেকে ড্রেজার মেশিন দ্বারা বালি উত্তোলন করলে খালের দুই পাড় ভেঙে পড়বে, এতে খালের পাড়ে বসবাসকৃত মানুষেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এ কারণে আমরা বালি উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় এবং প্রশাসনের মাধ্যমে বালি উত্তোলন বন্ধ করায়, ঠিকাদার আমাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে মামলা দিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। স্থানীয় নুরনগর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা বলেন, আমি এসিল্যান্ড স্যারের নির্দেশে উক্ত বালি উত্তোলন করা বন্ধ করে দিয়েছে। সংশ্লিপ্ত ঠিকাদার তুহিন হোসেন বলেন, আমি আর ওখান থেকে বালি উত্তোলন করবো না, এলাকার লোকজন আমার বালি উত্তোলনের মেশিনটি চুরি করে নিয়ে গেছে এবং পাইপগুলো ভেঙে দিয়েছে, এ বিষয়ে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। এদিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল রিফাত বলেন, অবৈধভাবে জনবসতি এলাকা থেকে পরিবেশ নষ্ট করে কাউকে বালি উত্তোলন করতে দেয়া হবে না। এ ধরনের অভিযোগ পেলেই আমাদেরকে জানালে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।